আজ
আমার মতে প্রশ্নটি এতই অবিশেষ যে ভিন্ন ভিন্ন সাহিত্যিকের কাছ থেকে তার বিভিন্ন উত্তর থেকে লেখা সম্বন্ধে কোনো মূল্যবান সিদ্ধান্তে আসা যায় না। যখন উদ্দেশ্যটা নিশ্চয়ই সাহিত্যিক, ব্যক্তিগত জীবনের গোপন খবর জানা নয়, তখন প্রশ্নের রূপ অন্যপ্রকারের হওয়াই ভালো ছিল; এই যেমন, ঐ রচনাটি অন্যভাবে না সাজিয়ে কেন এইভাবেই সাজালেন, কিংবা কেমন করে আপনার বক্তব্যটি এই বিশেষ রূপটি পেল? অর্থাৎ, আমার মতে why-এর বদলে how-এর দিকে ঝোঁক দিলেই সমালোচনার পক্ষে সুবিধা হতো। আর প্রশ্নটির অন্তরালে একটা দার্শনিক মন উকি দিচ্ছেসেটা বোধহয় ঠিক প্রগতিশীল সাহিত্যের উপযোগী নয়। কেন, কেন, কেন, কেন এই জীবন ধারণ, কেন এই সাহিত্যের নেশা... ? নিতান্ত ভারতীয়, নিতান্ত মধ্যযুগীয়, নিতান্ত হিন্দু...নয় কি? তার চেয়ে কোন মানসিক প্রক্রিয়ায় বিষ্ণু দে ‘জন্মাষ্টমীলেখেন, প্রেমেন মিত্র গল্প খাড়া করেন, মানিক বন্দোপাধ্যায় তাঁর গল্পের কাঠামো গড়ে তোলেন যদি জিজ্ঞাসা করা হতো, এবং তাঁরা ভেবেচিন্তে উত্তর দিতেন। তবে আমার মতো শিক্ষার্থী সাহিত্যিকের কল্যাণ হতো।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম নায়ক



আজ ১৯শে ফেব্রুয়ারি। একদিন পরই আমাদের স্বাদেশিকতা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক ‘শহীদ দিবস’। দেশ ইংরেজদের থেকে বুঝে পেয়ে পূর্ববাংলাবাসী আনন্দে আত্মহারা। স্বাধীনতা পাওয়ার ছয়মাসের মাথায় পাকিস্তানের করাচীতে পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। তারিখ ২৩শে ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ সাল। পরিষদে ক্ষমতায় মুসলিম লীগ, বিপক্ষে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেস। প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনই কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দু’টি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন।