এমরান হোসেন রাসেল©
সব
ঘটনাই মনে দাগ কাটে সত্যি হলে বিপদ ছিল। অনেক ঘটনাই মনে দাগ কাটে না। অনেক উচু
আওয়াজও কানে ঢুকে না, বোবাও নিঃশব্দে অনেক কিছু বলে।
বাস্তুহারা
মানুষ আমি। যেখানে থাকি অল্প পরিচিত একটি মিষ্টির দোকানে বসে নাস্তা করি, নয়তো চা খাই।
চা খাওয়ার জন্যই বেশি বসা হয়। দোকানটিতে বেশ বেচাবিক্রি হয়। আজ নাস্তা সেরে চা
খাওয়ার সময় ফাঁকাই ছিল যা সচরাচর নজরে পড়ে না। এমনি সময় একজন বিগতযৌবনা ভদ্রমহিলা
দোকানে ঢুকলেন; সাথে অল্পবয়সের একটি ছেলে,
বয়স সাত/আট হবে। কেজি দুই-এর মতো মিষ্টি
নিলেন। দোকানি ওজন করতে করতে ভদ্রমহিলা টাকা পরিশেোধ করে দিয়ে দোকানের বাইরে
গেলেন। তার সাথে যে আরও একজন আছে বোঝা গেল তখন, যখন তিনি তার সাথে গিয়ে কথা শুরু
করলেন। বয়সে তরুণী, সাথে একটি তিন-চার বছরের ছেলে। শিশুটি মার বাঁধা উপেক্ষা
করে বারবার দোকানে ঢুকতে চাইছে। অবুঝকে শান্তনা দেওয়ার জন্যই হয়তো ভদ্রমহিলা আবার
দোকানে ঢুকে অল্পকিছু জিলাপী কিনে শান্ত করার চেষ্টা করলেন। ততক্ষণে বড় ছেলেটি
মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বের হচ্ছে দেখে ছোট শিশুটি নিজ হাতের জিলাপী ফেলে দৌড়ে এসে
মিষ্টির প্যাকেটটি নেওয়ার জন্য কান্না জুড়ে দিলো, সে নিজে প্যাকেটটি বহন করবে। অবুঝ
শিশু। মিষ্টির প্যাকেট বহনেই যার আনন্দ। নিজের জিলাপী তুচ্ছ, আত্মীয়ের
(...) মিষ্টির প্যাকেটের চেয়ে; ভার যাই হোক। এমন অবুঝ মনের বয়স্ক-শিশুর ভীড়ে খোকা-শিশুটি
কিছু না বলে শিখিয়ে গেল অনেককিছু।
কান্নাসহ
মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এগিয়ে চললো চারজনের দল,
ক্রমে শিক্ষক-শিশুর কান্না ক্ষীণ হয়ে
প্রতিবেশের সাথে মিলে গেল।