আজ


এমরান হোসেন রাসেল©

জাতিসংঘের ২০০৫ সালে এক রিপোর্ট বলছে২০০৫ সালে পৃথিবীতে প্রায় দুই কোটি সত্তুর লক্ষ দাস ছিল।  ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টি ফেললে দেখা যায় ৪০০ বছরে আগে আমেরিকায় সে পরিমাণ মানুষকে দাসত্ব বরণ করতে হয়েছিল, ২০০৫ সালে দাসেরা সংখ্যায় দ্বিগুণ এরপর ছোট-বড় কয়েকটি যুদ্ধ এই পরিমাণকে বৃদ্ধি করা ছাড়া, কমায় নি।



এমরান হোসেন রাসেল©


শুরুতেই ব’লে রাখা ভালো, আমি কোনও গবেষক কিংবা পণ্ডিত নই। নিজের জাত আর অন্যের ঘাত থেকে আত্মরক্ষার্থে পাঠক পরিচয়ে— পরিচিত হইএই নিবন্ধের বক্তব্য আপনাদের অজানা, এমন ধৃষ্টতা আমি করবো না। সবই আপনারা জানেন।

লেখ্যবৃত্তি পবিত্র কাজ। এরচেয়ে পবিত্র লেখকের স্বাধীনতা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ লেখকদের কথা বলছি। যাঁরা সাম্য আর উদার মানসিকতার আদর্শে বিশ্বাসী। সাহিত্য যাঁদের দেশ ও জাতির সেবা করার হাতিয়ার। জনমানুষের অব্যক্ত ভাষা, আনন্দের ধারা আর কল্যাণ বিধানে লেখনীকে সুফলপ্রসূ ব্যবহার করা যাঁরা জীবনের ব্রত মনে করেন। আর্ট এঁদের কাছে কোন শৌখীনতা নয়, ব্যক্তিক অভিব্যক্তি লক্ষ্যহীন লীলাবিলাসের চর্চা বিষয় নয়, বরং এক মহান সামাজিক কর্ম। তাঁদের সাহিত্যকর্মের প্রতি পরতে পরতে গভীর দায়িত্ববোধ থাকে। সমাজ চৈতন্য দ্বারা অনুপ্রাণিত, সমষ্টির ভাবনায় দীপ্ত। রাজভয়, লোকভয় আর মৃত্যুভয় কোন ভয়ই যাঁদের কাবু করতে পারে না।  ক্ষমতাবানদের অনুগ্রহের অপেক্ষা আর নিগ্রহের পরোয়া না করে সত্যবাক্য খরখড়্গের মতো ঝলসিয়ে উঠা হলো যাঁদের সংকল্প। এমনই একজন লেখক— আহমদ ছফা।
ঐতিহাসিকের নোটবুক— সিরাজুল ইসলাম

এমরান হোসেন রাসেল©

ইতিহাস একটি জটিল বিষয় এবং নিরপেক্ষ ইতিহাস এক অলীক বস্তু। যার সবচেয়ে প্রামাণ্য দলিলগুলো ভূগর্ভে নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে রয়েছে। সেগুলোকে খুঁচিয়ে বের করতে হয়। কম-বেশি সব ইতিহাসই কোন-না-কোন প্রভাবে স্ফীত বা সংকুচিত। একমাত্র সুক্ষ্ম বিবেচনার অধিকারী মস্তিস্ক এবং দক্ষ আর অভিজ্ঞ হাতেই সত্য ইতিহাস উন্মোচিত হয়।

এমরান হোসেন রাসেল©

আমরা বলি বই পড়লেই মানুষ মননশীল হয়।বলা উচিৎ মননশীল বই পড়লে মানুষ মননশীল হতে পারে। বইয়ের হাট হলো এমনই মননশীল বইয়ের আধার। শুধুমাত্র বাংলায় মননশীল বইয়ের আধার।
আমার মতে প্রশ্নটি এতই অবিশেষ যে ভিন্ন ভিন্ন সাহিত্যিকের কাছ থেকে তার বিভিন্ন উত্তর থেকে লেখা সম্বন্ধে কোনো মূল্যবান সিদ্ধান্তে আসা যায় না। যখন উদ্দেশ্যটা নিশ্চয়ই সাহিত্যিক, ব্যক্তিগত জীবনের গোপন খবর জানা নয়, তখন প্রশ্নের রূপ অন্যপ্রকারের হওয়াই ভালো ছিল; এই যেমন, ঐ রচনাটি অন্যভাবে না সাজিয়ে কেন এইভাবেই সাজালেন, কিংবা কেমন করে আপনার বক্তব্যটি এই বিশেষ রূপটি পেল? অর্থাৎ, আমার মতে why-এর বদলে how-এর দিকে ঝোঁক দিলেই সমালোচনার পক্ষে সুবিধা হতো। আর প্রশ্নটির অন্তরালে একটা দার্শনিক মন উকি দিচ্ছেসেটা বোধহয় ঠিক প্রগতিশীল সাহিত্যের উপযোগী নয়। কেন, কেন, কেন, কেন এই জীবন ধারণ, কেন এই সাহিত্যের নেশা... ? নিতান্ত ভারতীয়, নিতান্ত মধ্যযুগীয়, নিতান্ত হিন্দু...নয় কি? তার চেয়ে কোন মানসিক প্রক্রিয়ায় বিষ্ণু দে ‘জন্মাষ্টমীলেখেন, প্রেমেন মিত্র গল্প খাড়া করেন, মানিক বন্দোপাধ্যায় তাঁর গল্পের কাঠামো গড়ে তোলেন যদি জিজ্ঞাসা করা হতো, এবং তাঁরা ভেবেচিন্তে উত্তর দিতেন। তবে আমার মতো শিক্ষার্থী সাহিত্যিকের কল্যাণ হতো।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম নায়ক



আজ ১৯শে ফেব্রুয়ারি। একদিন পরই আমাদের স্বাদেশিকতা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক ‘শহীদ দিবস’। দেশ ইংরেজদের থেকে বুঝে পেয়ে পূর্ববাংলাবাসী আনন্দে আত্মহারা। স্বাধীনতা পাওয়ার ছয়মাসের মাথায় পাকিস্তানের করাচীতে পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। তারিখ ২৩শে ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ সাল। পরিষদে ক্ষমতায় মুসলিম লীগ, বিপক্ষে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেস। প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনই কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দু’টি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

শেষ চিঠি ─ আয়েশা ফয়েজ
এমরান হোসেন রাসেল©

শেষ চিঠি ─ আয়েশা ফয়েজ
প্রথম প্রকাশ : ২০১৭।
প্রকাশক : তাম্রলিপি।


মূল্য : ১৬০ টাকা।

আমার এত আদরের বাচ্চাটি আমাকে ছেড়ে তুমি কোথায় গেলে”─ লেখাটির শুরু এক দেহত্যাগী সন্তানের প্রতি মমতাময়ী মায়ের। এখানে মা আয়েশা ফয়েজ আর সন্তান স্বনামধন্য লেখক হুমায়ূন আহমেদ। একজন মায়ের ছটফটানি, অস্থিরতা, কষ্ট, দুঃখ, যন্ত্রনা, একাকীত্ব, নিঃঙ্গতাবিষয়গুলো লেখায় ক্রমে প্রকাশ পেয়েছে। বিষয়বস্তুতে ভাষিক অলংকার, ঘটনার প্লট বা সময়ের গতি কিছুই নেই। সন্তানের অকাল প্রস্থান যেন অবলা এক মাকে থামিয়ে দিয়েছে নিরন্তর। একজন সাদাসিধা মানুষের সরল হৃদয়ের ভাবটুকু কাগজের পাতায় প্রকাশমাত্র।